স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বাদামের জুরি নেই। শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনেও খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে কাঠ বাদাম। সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই খাদ্য তালিকায় রাখে। এমনকি ওজন কমাতে গেলেও কাঠ বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে থাকা ভাল ফ্যাট ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ শরীরের পক্ষে উপকারী। তবে অনেকেই সঠিকভাবে খেতে নাও জানতে পারেন। স্বাস্থ্যকর বলে অনেকে আবার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে হয়। কাঠ বাদামে কী পুষ্টিগুন পাবেন ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম এবং রিবোফ্লাভিন আছে বাদামে। এছাড়া রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন, নিয়াসিন, থায়ামিন এবং ফোলেটের মতো পুষ্টিগুণ। কাঠ বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর।
কীভাবে খাবেন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাদাম হজম করা কঠিন।
এতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে বাদাম খেলে শরীর গরম হয়ে ওঠে। তাই বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া ভালো।যখনই খাবেন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখলে তাপ অনেকটা কমে যায়। সেই সঙ্গে ফাইটিক অ্যাসিড বা ট্যানিন অপসারিত হয়। ভেজানো বাদাম খেলে সহজেই পুষ্টিগুণ নিতে সক্ষম হয় শরীর। হজম তাড়াতাড়ি হয়। বদহজমের সমস্যা হয় না।ভিজিয়ে খেতে অপছন্দ হলে শুকনো বাদামই গুঁড়া করে খেতে পারেন। ভেজানো বাদাম থেকে ফাইবার, প্রোটিন, বিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি পুষ্টিগুণ সহজে আপনার শরীর শুষে নিতে পারে।
বাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কও সক্রিয় হয়ে ওঠে। স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য বাদাম ভিজিয়ে খেতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
কী পরিমাণে বাদাম খেতে পারবেন
কাঠ বাদামে ৮০শতাংশ চর্বি আছে। চর্বি হজম হতে অনেক সময় লাগে। বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে। প্রতিদিন ৫-১০টা কাঠ বাদাম খেতে পারেন।
Related